করোনাঃ অর্থনীতি ও জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর নেয়া যত পদক্ষেপ

করোনায় অর্থনীতি ও জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া যত পদক্ষেপঃ

• দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য এইচএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।


• অনলাইন, টেলিভিশনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা।


• করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ ছুটি কয়েক দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বলবৎ রাখা।


• চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ করোনা যুদ্ধে ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধাদের জন্য পিপিই-মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী নিশ্চিত করা।


• টেস্টিং কিট আমদানি ও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। সারাদেশে অন্তত ৫২টি ল্যাব থেকে এই করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হচ্ছে।


• যে সব সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী প্রত্যক্ষভাবে করোনা ভাইরাস রোগীদের নিয়ে কাজ করছেন তাদের বিশেষ সম্মানী দেওয়া হবে। এজন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


• করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের কেউ দায়িত্ব পালনকালে আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৫ গুণ হিসেবে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা ঘোষণা। এজন্য ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ।


• স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিদেশী সংস্থা, চিকিৎসক পেশার প্রতিনিধি সবাইকে নিয়ে ‘জাতীয় কমিটি’ এবং কোভিড–১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গঠন।


• ২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ। আরও ৫ হাজার স্বাস্থ্য টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে।


• স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শের জন্য ৩টি হটলাইন (১৬২৬৩; ৩৩৩ ও ১০৬৫৫) চালু।


• করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগ, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন।


• গেলো দুই মাসে প্রধানমন্ত্রী অন্তত ছয়বার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হয়ে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।


• প্রধানমন্ত্রী সঙ্কট মোকাবিলায় ১ এপ্রিল ৩১টি, ১৬ এপ্রিল ১০টি, ২০ এপ্রিল ১৩টি এবং ২৭ এপ্রিল ১০টি নির্দেশনা দেন।


• ১৫ মার্চ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯ ঠেকানোর লড়াইয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সার্ক নেতাদের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।


• করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ১৯টি প্যাকেজে ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা। যা জিডিপি’র ৩.৭ শতাংশ।


• ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি বাবদ ২৫১ কোটি টাকা, হিজড়া বেদেসহ নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে নগদ বিতরণ ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা।


• ভাতা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি ৮১১ কোটি টাকার, গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর তৈরি ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।


• বোরো ধান/চাল ক্রয়ের কার্যক্রম (অতিরিক্ত ২ লাখ টন) ৮৬০ কোটি টাকার এবং কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ ২০০ কোটি টাকা।


• ভিজিডি, ভিজিএফ, ১০ টাকায় খাদ্য সহায়তা ও অন্য সহায়তা প্রাপ্ত প্রায় ৭৬ লাখ পরিবার বাদ দিয়ে অবশিষ্ট প্রায় ৫০ লাখ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষে মে/২০২০ মাসে এককালীন ২৫শ টাকা হারে মোট ১২শ ৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।


• স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের ২ লাখ ৯ হাজার ৬৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে উপবৃত্তি বাবদ ১০২ কোটি ৭৪ লাখ ২ হাজার ৬শ টাকা এবং টিউশন ফি বাবদ ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ।


• প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে জুলাই ২০২০ থেকে দেশের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।


• ৫০ লাখ মানুষের জন্য রেশন কার্ড করা আছে যারা ১০ টাকায় চাল পান। নতুন আরও ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা। এতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।


• কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের জন্য আউশ ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে পৌঁছানোর উদ্যোগ।


• বোরো মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


• কৃষি যান্ত্রীকিকরণে অঞ্চলভেদে উপকরণ ক্রয়ের জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।


• ৬৪ জেলার ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের জন্য ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


• ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ। ২৯ মে পর্যন্ত ৭২ জন জনপ্রতিনিধিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


• বাংলাদেশের ৪,৫৬৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত প্রায় ৪৬ হাজার গ্রামপুলিশ (দফাদার ও মহল্লাদার)-কে ১,৩০০ (এক হাজার তিনশ) টাকা করে সর্বমোট ৬ কোটি টাকা বিশেষ অনুদান।


• ৩০ মে পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী লোকসংখ্যা ছয় কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার।


• নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১১০ কোটিরও বেশি টাকা। বিতরণ হয়েছে ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৮৫৮ জন।


• শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ ২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৯ হাজার।


• করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রমজান উপলক্ষে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, মসজিদগুলোর জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা।


• দেশের ৩২৮ পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ।


• বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, দলীয় সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে সারাদেশে ৯০ লাখ ২৫ হাজার ৩২৭ পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ৮ কোটি ৬২ লাখ ৮ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধানকাটা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ।

/এমপিনিউজডটকমডটবিডি

Section Background